শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
সামস্উদ্দিন বাবর,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী এলাকায় বেসরকারি নিউ নাগরিক হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।অপারেশনে জন্ম নেওয়ার ৯ ঘণ্টার মধ্যে ভুল চিকিৎসা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন নবজাতকের স্বজনরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে ভুক্তভোগী পরিবার হাসপাতালের সামনে এসে এমন অভিযোগ তুলেন। এরআগে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বরমী বাজার কেন্দুয়া নিউ নাগরিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
স্বজনরা জানায়, সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বরমী বাজার কেন্দুয়া নিউ নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মুক্তা আক্তারকে। সেদিন পরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে মুক্তার সিজারিয়ান অপারেশন হলে নবজাতকের মা ও নবজাতক সুস্থ ছিলেন। নবজাতক হওয়ার পরও পরীক্ষা নিরীক্ষার সকল রিপোর্ট নরমাল এবং সাত ঘন্টা নবজাতক বাচ্চাটি সুস্থ ছিল। রাত নয়টার পর থেকে বাচ্চার শরীরের কন্ডিশন খারাপ হতে থাকে।পরে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে রেফার্ড করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ আমাদের বাচ্চা সুস্থ ছিল। পরে নবজাতকের কন্ডিশন খারাপ করে শিশুটিকে তাদের হসপিটালের এম্বুলেন্স দিয়ে ময়মনসিংহ হসপিটালে পাঠায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, জন্মের সময় নবজাতকটি সুস্থ থাকলেও পরে তাঁর ঠান্ডা লাগে। এ কারনে ঠান্ডা জনিত চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছিল। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাত ১১টার দিকে আমাদের গাড়িতে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
ডাঃ সাইফুল ইসলাম শাওন বলেন, বাচ্চাটি জন্মের আগেই বলাছিল বাচ্চার মায়ের পেটের মধ্যে প্রচুর পানি আছে। প্রথম তিন ঘন্টা বাচ্চাটি ভালো ছিল। তারপরে ঠান্ডা দেখা দিলে আমরা তাকে অক্সিজেন দিয়ে দেই। অক্সিজেন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরে বাচ্চার মুখ থেকে ফেনা ফেনা বের হয়। পরে ঠান্ডার জন্য একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে তার মৃত্যু হয়।
‘শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। সেখানে একটি নবজাতকের জন্মের পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে দেখবো।
শ্রীপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, আমি একটি জরুরী কাজে ব্যস্ত আছি বিস্তারিত জেনে শিশু মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানাতে পারবো।